ওয়েবডেসস্ক- বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Bankura University) সমাবর্তনের (Convocation) মঞ্চে নাম না বলায় অনুষ্ঠান চলাকালীন কক্ষ ছাড়লেন সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী (MP Arup Chakraborty) । তার জমিতেই বিশ্ববিদ্যালয় তাঁরই নাম নেই, ডেকে অপমান করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি সাংসদের।
বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এসে অনুষ্ঠান চলাকালীন সভাকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী ও সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। বাইরে বেরিয়ে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী।
বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য তিনি জমিদান করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই নাম মুখে আনল না তাই অভিমানেই অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলাম এমন দাবি করলেন সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী। তবে এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মুখ খোলেনি। দুই আমন্ত্রিত অতিথি বেরিয়ে গেলেও নজরে পড়েনি কর্তৃপক্ষের।
বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হল মঙ্গলবার বাঁকুড়া রবীন্দ্র ভবনে। এদিন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাজির হন রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে হাজির হন বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী ও বাঁকুড়া জেলাপরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়।
অনুষ্ঠানের মঞ্চে না থাকলেও মঞ্চের নিচে প্রথম সারিতে বসেই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তারা। এদিন ডিলিট সম্মান দেওয়া হয় দেবশংকর হালদার, আবুল বাশার, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, ঝুলন গোস্বামীকে ডিলিট সম্মান দেওয়া হয়।
এদিনের অনুষ্ঠান চলাকালীন রাজ্যপালের কাছে নিজের পরিচয় দিয়ে সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে যান বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী ও সভাধিপতি অনুসূয়া রায়। এদিন বাইরে বেরিয়েই বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন।
আরও পড়ুন- হুগলির বলাগড়ে ভোটার তালিকায় নাম নেই দেড় হাজার মানুষের!
সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী বলেন, যার জমিতে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠল, আমার জমি না দিলে বিশ্ববিদ্যালয় হত না। এটা বলা হল না সেখানে বলা হল জমিদাতা হিসেবে বিষ্ণু বাজোরিয়ার নাম। কিন্তু যে জমি দিল যার জমির উপর বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠল মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বিশ্ববিদ্যালয় হল সেই নাম করা হল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগে বাঁকুড়ায় গড়ে উঠে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় মুখ্যমন্ত্রী নামও উচ্চারণ করা হল না। এই কারনেই তিনি অনুষ্ঠান চলাকালীন অনুষ্ঠান কক্ষ ত্যাগ করে বেরিয়ে যান।
বেরানোর আগে রাজ্যপালের কাছে জানিয়ে যান তিনি একজন সাংসদ আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন। এইভাবেই ডেকে অপমান করল বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেরিয়ে যাবার পথে জানালেন সাংসদ। যদিও এই বিষয়ে রাজ্যের রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছুই বলেননি। আর বাঁকুড়া বিশ্ববদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফেও কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দেখুন আরও খবর-







